বাচ্চাকে সুন্দরভাবে বড় করতে গেলে প্রথমেই দরকার মায়ের আনন্দে থাকা। আর সেজন্য প্রতিদিন অন্তত: আধ ঘন্টা রাখুন নিজের জন্য। সেই নিজস্ব সময়ে আপনি রাখতে পারেন আপনার বিভিন্ন ইচ্ছে… বই পড়া, গান করা, ছবি আঁকা ইত্যাদি। এর সাথে নজর রাখতে হবে নিজের সঠিক সময়ে খাওয়া দাওয়া ও বিশ্রামের। তার ফলে মা অনেক উৎফুল্ল থাকবেন তার সন্তানকে বড় করার দায়িত্ব পালনে।
ফ্যামিলি ক্যালেন্ডার তৈরী করা খুব প্রয়োজনীয়, যেখানে সারা সপ্তাহে বাচ্চার বিভিন্ন ধরণের অ্যাকিটিভিটি, ডায়েট চার্ট,
স্কুল টিফিনের মেনু প্ল্যান করা থাকবে। ফলে মায়ের পক্ষে ধীরেসুস্থে তা করে ফেললেই সমস্যা অনেক কমে।
অনেকসময় আমরা কাজের সময়গুলোতেও আমাদের স্মার্টফোনে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ঘাঁটতে ব্যস্ত থাকি। এটার ফলে সময়ের কাজ সময়ে হয়না এবং কাজের চাপ বেড়ে যায়। বাচ্চাও যদি মা বাবাকে ক্রমাগত মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখে তাহলে তার মধ্যেও খুব ছোট বয়স থেকে মোবাইলের প্রতি আসক্তি হতে বাধ্য। তাই দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন এসব করার।
নিজের লাইফ পার্টনারের সাথে আলাদাভাবে স্পেশাল সময় কাটান। সারাদিন বাচ্চার যত্নআত্তির সাথে এটারও খুব প্রয়োজন।
যারা বাইরে কাজে বেরোন, তারা চেষ্টা করুন বাড়ীর সাপোর্ট সিস্টেমকে স্ট্রং রাখতে। শুধুমাত্র আয়ার ভরসায় না ছেড়ে সম্ভব হলে বাড়ীর আত্মীয়দের সাহায্য নিন, অথবা ভালো কোনো ক্রেশে বাচ্চাকে রাখুন। চেষ্টা করুন বাড়ী ফিরে বাচ্চার সাথে যথাসম্ভব কোয়ালিটি টাইম কাটাতে। তা না হলে মনের মধ্যে একটা অপরাধবোধ থেকে হতাশা আসতে পারে।
যারা মা হবার পর প্রফেশনাল জীবন থেকে বিরতি নিয়েছেন, তাদের অনেকসময় হতাশাবোধ তৈরী হয়। সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন মাতৃত্বকে বিভিন্ন উপায়ে উপভোগ করতে। বাচ্চার বন্ধুদের মায়েদের সাথে ফ্রেন্ড সার্কল তৈরী করুন। দেখবেন হই হই করে সময় কেটে যাচ্ছে। কোনো প্রফেশনাল অনলাইন কোর্স করে নিতে পারেন এই ফাঁকে। বাচ্চা বড় হলে কাজের জগতে আবার প্রবেশ করতে অসুবিধে হবেনা।
This is very important. Most of the Indian moms tend to ignore this fact. Thanks for the write up on this topic.
Really it’s very important to us… thanks for the information….
এত শক্ত ব্যাপারকে এত সহজ করে দিলেন যে আগ্রহ অনেক বেড়ে গেল,ভাগ্যক্রমে ইউটিউব এ আপনার ভিডিও দেখে অবগত হলাম। প্রতিটি বাবা মায়ের এই বিষয়ক জ্ঞান থাকা একান্ত দর্কার। অপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Thanks Dr. Mondal.
Regards
Payel Ghosh