দোল আসছে..শুরু হবে ফাগের রঙে মাতোয়ারা হওয়া। নিজেদের মনকেও সতেজ করে তোলা যায় এই রঙের তুলিটানে। তবুও কিছু কিছু ব্যাপারে সাবধানতা তো নিতেই হয়। বিশেষ করে কচিকাচাদের ক্ষেত্রে। তাই সহজভাবে গল্পচ্ছলে ওদের দিন কিছু সাবধানতার পরামর্শ।
১। চেনাশোনা পরিধি ছাড়া ওদের একা একা কারোর সঙ্গে যেতে বারণ করে দিন। এমনকি কোন প্রলোভনেও যেন ওরা সাড়া না দেয়।
২। যদি রং মাখানোর সময় ওদের প্রাইভেট পার্টসকে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে স্পর্শ করে বা তাতে আঘাত করে, অবশ্যই ওরা যেন তা আপনাদের জানায়।
৩। অনেক বাচ্চা রঙ খেলার প্রক্রিয়াটিকে ভয় পায়। দৌড়ে এসে জোরজার করে রঙ মাখানোতে অনেকেই তীব্র কান্না জুড়ে দেয়। এ নিয়ে ওদের ‘ভীতু’ বা ‘বোকা’ বলবেন না। বরং ওদের সাথে থেকে শান্তভাবে দোলের আনন্দময় মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে ওরাও মেতে উঠেছে মজায়।
৪। চেষ্টা করবেন ওদের হাত পা ঢাকা পোশাক পরাতে। সম্ভব হলে মাথায় শাওয়ার ক্যাপ আর গায়ে, মুখে, হাতে পায়ে নারকোল তেল লাগিয়ে দিন।
৫। রং খেলার পর মিষ্টিমুখ অপরিহার্য। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন, কচিকাচারা যেন রং মাখানো হাতে মুখে মিষ্টি না তোলে। আজকাল রঙে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মেশানো থাকে, যা ছোটদের শরীরে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই খাওয়ার ব্যাপারটায় একটু হাইজিনের দিকে লক্ষ্য রাখুন।
৬। অনেক সময় রং মাখার পর বাচ্চাদের চোখ বা ত্বকে অস্বস্তি হতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে ওদের প্রতি নজর দিন।
৭। দোল খেলতে যাওয়ার আগে দোল খেলার ইতিহাসের গল্প বলুন। ওদের জানান ভারতবর্ষে কোথায় কিভাবে দোল খেলা হয়। দেখবেন, রঙের উৎসব আরো আনন্দময় হয়ে উঠবে ওদের কাছে।