পুজোর ছুটিতে বাচ্চাদের শেখান সোশ্যাল স্কিল:
দুর্গাপুজো এমন একটি উৎসব যার জন্য আমরা সবাই সারাবছর অপেক্ষা করে থাকি।
আর এই সময়টা একেবারেই আদর্শ বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম সোশ্যাল স্কিল শেখানোর জন্য।
১। বাচ্চাদের উৎসাহ দিন নিজের হাতে বাড়ীর সবার জন্য উপহার বানাতে। ছোট্ট বাচ্চারা থাম্ব প্রিন্টিং দিয়ে গ্রিটিংস কার্ড বানাতে পারে বাড়ীর বড়দের জন্য। যাদের ক্র্যাফ্টের কাজ ভালো তারাও অনেক কিছু বানিয়ে দিতে পারে উপহার হিসেবে। এর ফলে ছোট থেকেই বাচ্চারা ফ্যামিলি বন্ডিং সমন্ধে একটা ধারণা পাবে।
২। পুজো মানেই তো পাড়ার ক্লাবে ফাংশন আর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চেষ্টা করুন আপনার বাচ্চাটিকে সেই সব অ্যাক্টিভিটিতে অংশগ্রহন করানোর জন্য। এর ফলে বিভিন্ন বয়সী মানুষের সাথে ওদের মেলামেশা করার সুযোগ হবে।
৩। বাচ্চাদের কাছে পুজো মানেই সকাল বিকেল নতুন জামা। মাঝে মাঝে তিন চারটে জামার মাঝে ওদেরই বেছে নিতে দিন কোনদিন কোনটা পরবে। এটাকে বলা হয় ‘লিমিটেড চয়েস ডিসিশন’। এর ফলে আস্তে আস্তে নিজস্ব চিন্তা ভাবনার প্রতি ওর কনফিডেন্স বাড়বে।
৪। পুজোয় তো পড়াশোনার নিশ্চয় ছুটি থাকবে। কিন্তু গল্পের বই তো পড়া তো চলতেই পারে। তাই এই সময় স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে বাচ্চার হাতে ধরিয়ে দিন বিভিন্ন ধরনের গল্প বই। ওদের পড়ে শোনান বিভিন্ন ধরণের গল্প। পুজোর ছুটিতে ওদের মধ্যে স্মার্টফোনের আসক্তির বদলে আসুক বই পড়ার নেশা।
৫। পুজোতে মা বাবা দের কাজের চাপও কম থাকে। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে সময় দিন বাচ্চাদের। ওদের সাথে খেলুন, গল্প করুন আত্মীয়স্বজন,বন্ধুবান্ধবদের বাড়ীতে নিয়ে যান। ওদের একলা থাকা শৈশবের দিনগুলোকে প্রানবন্ত করে তুলুন।