-
পেরেন্টিং 'র প্রকারভেদ
পেরেন্টিং শব্দটির মধ্যে রয়েছে একটি বিশাল দায়িত্বভার। আগেকার দিনে এই বিষয়টি নিয়ে মানুষের মনে এত প্রশ্ন বা কৌতুহল ছিলনা। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের পছন্দমাফিক অভিভাবকেরা বাচ্চাদের বড় করে তুলেছেন। কিন্তু সময়ের তালে সব কিছুই বদলেছে। সেই সঙ্গে বদলেছে আমাদের পুরনো ধ্যানধারণা। একজন অভিভাবক হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় কর্তব্য হলো আমাদের সন্তানদের মধ্যে থাকা অন্তর্নিহিত গুণগুলো খুঁজে বের করা এবং সেগুলোর প্রকৃত পরিস্ফুরনের দিকে খেয়াল রাখা। তার সাথে তাদের চারিত্রিক কাঠামো বানাতে হবে গভীর মূল্যবোধ দিয়ে। সেখানেই অভিভাবকত্বের সার্থকতা। আর এই অভিভাবকত্ব করার জন্য প্রয়োজন এ সমন্ধে সম্যক জ্ঞান। সে কারণে আমাদের প্রথম ক্লাসের আলোচ্য বিষয় পেরেন্টিং কী এবং তার প্রকারভেদ ও বা কী। আসুন আমরা দেখে নিই এই বিষয়টি।
-
ডিসিপ্লিন কিভাবে শেখাবেন বাচ্চাকে?
ডিসিপ্লিন এমনই একটি শব্দ যার মধ্যে নিহিত আছে অপরিমেয় শক্তি। অনেক প্রতিভাশীল মানুষ শুধুমাত্র ডিসিপ্লিনের অভাবে নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যেতে পারে। আবার অনেক সাধারণ মেধার মানুষও শুধুমাত্র ডিসিপ্লিনের দ্বারা নিজস্ব লক্ষ্যে সহজভাবে পৌঁছে যান। সবচেয়ে বড় কথা হলো এই ডিসিপ্লিন বিষয়টির বীজ বপন করতে হয় একদম ছোট্ট বয়স থেকেই। আর এই দায়িত্বটি বহন করতে হবে অভিভাবকদের। আমাদের দ্বিতীয় ক্লাসের বিষয় ‘ডিসিপ্লিন’। আসুন আমরা বিশদে জেনে নিই এই বিষয়ে।
-
কেন হয় টেম্পার ট্যানট্রাম বা জেদ?
জেদ করেনা এমন বাচ্চা প্রায় বিরল। কিন্তু সেই জেদ যদি মারাত্মক আকার ধারণ করে তবে বেশ মুশকিল। অনেকসময় মা বাবা রা দিশাহারা হয়ে পড়েন বাচ্চাদের তীব্র জেদের ফলে। কখনো বা তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন কখনো বা তাদের অস্বাভাবিক ব্যবহারের কাছে হার মেনে যান। তার ফলে বাচ্চারা শেখেনা কিভাবে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করবে। অনেকসময় এই ব্যাপারে অজান্তেই তাদের প্রশ্রয় দিয়ে ফেলেন বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরাও। তাহলে কিভাবে সামলাবেন বাচ্চাদের জেদ? আমাদের তৃতীয় ক্লাসের বিষয় হলো বাচ্চাদের জেদ।
-
বাচ্চার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরী করবেন কি ভাবে?
আত্মবিশ্বাস এমনই একটি শব্দ যা জীবনের প্রতি পদক্ষেপে প্রয়োজন। প্রথম স্কুলে যাবার দিন থেকে কলেজের প্রথম দিন বা কর্মক্ষেত্রের প্রথম অভিজ্ঞতা, সব জায়গাতেই আত্মবিশ্বাস থাকা মানে কিছুটা এগিয়ে যাওয়া। তাই অভিভাবকদের একান্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো বাচ্চাদের মধ্যে ছোট থেকেই আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করা। তার জন্য দরকার ধৈর্য এবং উপযুক্ত পেরেন্টিং পদ্ধতি। তাহলেই বিকশিত হবে বাচ্চার স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তা এবং প্রত্যুতপন্নমতিত্ব। আমাদের চতুর্থ ক্লাসের আলোচনা এই বিষয়টি নিয়েই।
-
বাচ্চার সুরক্ষা
আত্মসুরক্ষা বিষয়টি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। খুব ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের মনে অভিভাবকদের তরফ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট বিশ্লেষণ একান্ত জরুরি। বাচ্চারা যখনই বাড়ির ঘেরাটোপ থেকে সামাজিক জীবনে পা রাখে তখন থেকেই বিভিন্ন রকম সমস্যার সামনে তারা পড়তে পারে। স্কুলে বন্ধুরা মারধর করলে বা কখনও খারাপ স্পর্শের শিকার হলে নিজেদের গুটিয়ে না নিয়ে কিভাবে মোকাবিলা করবে সেই সমস্যার, তার পাঠ অভিভাবকেরাই দেবেন তাকে। কিন্তু কিভাবে? আমাদের পঞ্চম ক্লাসে বিষয়টি হলো আত্মসুরক্ষা।
-
বাচ্চার কমিউনিকেশন স্কিল
কমিউনিকেশন স্কিল এমনই একটি ক্ষমতা যা অনেক সমস্যার সহজ সমাধান দিতে পারে। তাই ছোট থেকেই বাচ্চাদের এই স্কিলটির প্রতি যত্নশীল করা উচিত। কিন্তু কিভাবে এই স্কিলের উন্নতি সম্ভব? অভিভাবকদেরও কি কিছু পরিবর্তন আনা উচিত তাদের আচরণে? আমাদের ষষ্ঠ ক্লাসে এই বিষয়েই আলোচনা করব।
-
বাচ্চার টিভি ও স্মার্টফোনের নেশা
বাচ্চাদের মধ্যে বর্তমানে যে সমস্যাটি প্রকট হয়ে উঠেছে তা হলো টি.ভি ও স্মার্টফোনের প্রতি তীব্র আকর্ষণ। এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একাধিক স্মার্টফোন এবং টেলিভিশনে প্রচুর অনুষ্ঠান থাকে। এরকম পরিবেশ বাচ্চাদের কাছে পরম লোভনীয়। কিন্তু ক্রমে এই আসক্তি তাদের জীবনে ডেকে আনছে নানা ধরণের স্থায়ী ক্ষতি। কিভাবে সামলাবেন এই সমস্যা? আমাদের একাদশতম ক্লাসে এই বিষয়টি নিয়ে রয়েছে বিস্তারিত আলোচনা।
-
বাচ্চার খাওয়াদাওয়া
খাওয়া নিয়ে বায়ানাক্কা অনেক বাচ্চারই থাকে। আর তার সাথে ভীষণ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন অভিভাবকেরা। বাচ্চাকে ঠিক কী কী খেতে দেবেন, কিভাবে পরিবেশন করবেন ওদের খাবারদাবার সেসব নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই।আমাদের দশম ক্লাসে সেই বিষয়ের ওপর একটি ধারণা পেতে আমরা আলোচনা করব।
-
সিঙ্গল পেরেন্টিং
সিঙ্গল পেরেন্টিং বিষয়টি আমাদের কাছে এখন আর অচেনা নয়। ক্রমশই বাড়ছে এর সংখ্যা। তাই যে সকল অভিভাবকদের একাই পালন করতে হচ্ছে মা বাবা দুজনের দায়িত্ব তাদের কাছে নি:সন্দেহে বিষয়টি বেশ কঠিন। আমাদের নবম ক্লাসে আমরা জানব তারই বিভিন্ন খুটিনাটি যাতে সহজ হয়ে ওঠে সেই একলা চলার পথ।
-
বাচ্চার অতিরিক্ত চঞ্চলতা এবং অমনোযোগ
বাচ্চাদের অতি চঞ্চলতা এবং পড়াশোনায় অমনোযোগ নিয়ে নাজেহাল অনেক অভিভাবকেরা। সব অভিভাবকেরাই চান তাদের বাচ্চারা মন দিয়ে শান্ত চিত্তে পড়াশোনা করুক। কিন্তু যখন তার উল্টো প্রতিচ্ছবি তারা দেখতে পান অনেকসময়ই তারা নিজেদের নিজেদের সামলাতে পারেন না। কখনও হতাশ হয়ে পড়েন কখনও বা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা ওদের এই অস্থিরতার মূল কারণগুলো নিয়ে মাথা ঘামাইনা। আমাদের অষ্টম ক্লাসে আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়েই আলোকপাত করব।
-
সিবলিং রাইভ্যালরি
ভাই বোনদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি তো হতেই পারে। আবার কিছুক্ষণ বাদেই হয়ে যায় গলায় গলায় ভাব। কিন্তু সাধারণ ঝগড়া যখন রূপ নেয় ঈর্ষার তখনই সম্পর্কের মধ্যে আসে জটিলতা। আর অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় এর সূত্রপাত বাচ্চাদের ছোট্ট বয়স থেকে। অভিভাবকদের পক্ষপাতযুক্ত ব্যবহার বাচ্চার মন কে করে তোলে অবসাদগ্রস্ত। তার মধ্যে চলে আসে আক্ষেপ, রাগ বা হতাশা। তাহলে কী করা উচিত অভিভাবকদের? আমাদের সপ্তম ক্লাসের বিষয় এটাই।
-
ইমোশনাল ব্যালান্স
সুখ দু:খ, হাসি কান্না, সাফল্য ব্যর্থতা এগুলো জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই ছোট থেকে যত আমরা আমাদের সন্তানদের আগলে রাখবো ততই আগামীদিনগুলো ওদের পক্ষে কঠিন হয়ে উঠবে। ফলে বিভিন্ন রকম প্রতিকূল পরিবেশের সামনে সহজেই তারা ভেঙে পড়বে। তাই এই ব্যাপারে একটা ভারসাম্য রক্ষা করা বিশেষ প্রয়োজন। আমাদের শেষ এবং দ্বাদশ ক্লাস এই বিষয়টি নিয়েই।
যত্ন – যত্নে রাখুন আপনার সন্তানকে
Prev
Test your knowledge
Next
Lesson 12
Ma’am something went wrong in this web link.i completed 11 exam successfully with 100% right answer but in 12th exam without any attempt showing all question skipped. how it’s possible?
need your valuable feedback also please arrange re-exam.
Mam
I finished my course.eagerly waiting for last assessment .Can you please tell me about last big examination date?
It would be available by 25th Jan.
Thanks a lot Mam
Khub bhalo laglo puro course many thanks