পিরিয়ড বা মেন্স্ট্রুয়েশন কিশোরীদের ক্ষেত্রে একটি বেশ বড় পরিবর্তন কারন এতে শারীরিক ও মানসিক দুক্ষেত্রেই প্রভাব পড়ে। তাই মা বাবার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে।
১। যখনই তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন তখনই পিরিয়ডের ব্যাপারে ওদের scientifically বিষয়টি বুঝিয়ে দিন। প্রয়োজনে বিভিন্ন ভিডিও বা বইয়ের সাহায্যও নিতে পারেন।
২। পিরিয়ডের সময় বাচ্চার মধ্যে দুধরনের সমস্যা তৈরী হয়। শারীরিক ও মানসিক। মনের দিক থেকে অনেক বাচ্চাই কেমন যেন জড়সড় হয়ে পড়ে। অনেক বাড়ীতে পিরিয়ড সংক্রান্ত ব্যাপারে বিভিন্ন রকম সংস্কার আছে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে এ ব্যাপারটিকে যতটা স্বাভাবিক রাখা যায় ততই সচ্ছ্বন্দ বোধ করবে আপনার সন্তান।
৩। বাড়ীতে ভাই বা দাদা থাকলে মা বাবা হিসেবে আপনার কর্তব্য তাদেরও বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা দেওয়া। এর জন্য প্রয়োজনে বাড়ীর সব সদস্যরা একসাথে বসতে পারেন।
৪। স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার ব্যাপারেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক জড়তা আছে। আপনি নিজেও অনেকসময় হয়তো সে সব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আপনার সন্তানকে সেই জড়তার স্বীকার হতে দেবেন না। ওদের মনের মধ্যে স্পষ্ট ধারনা থাকার প্রয়োজন যে এটি একটি অতি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।
৫। যে সব বাচ্চারা কো এড স্কুলে পড়ে, তাদের বাবা মা দের প্রতি আমার একটি বক্তব্য আছে। আপনার পুত্র সন্তানটিকেও সহজ সুন্দরভাবে এ বিষয়ে অবগত করে দিন যাতে তার সহপাঠীনির এ বিষয়ে কোন সমস্যা হলে সে যেন তাকে support দিতে পারে। সেটাই কিন্তু সেক্স এডুকেশনের প্রধানতম লক্ষ্য।
৬। স্কুলে অনেকসময় এই বিষয় নিয়ে অনেক ধরনের workshop হয়। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু স্কুলে দেখা যায় এ বিষয়ে আলাদা করে মেয়েদের নিয়ে workshop হচ্ছে। এখানে অনেক সময়েই ছেলেদের মধ্যে একটা অকারণ কৌতুহল তৈরী হয়, আর মেয়েদের মধ্যে অকারণ জড়তা। তাই এ ধরনের workshop গুলো একসাথেই হওয়া উচিত।
৭। যেসব বাচ্চারা খুব sporty, তাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের heavy bleeding র দিনগুলো খুব সমস্যা হয়ে ওঠে। অনেকসময় ওরা খুব depressed ও হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে সবসময়ই মা বাবাদের চেষ্টা করা উচিত ওই সময়গুলোতে indoor গেমের ব্যবস্থা করা। এতে তাদের মনটাও ভাল থাকবে।
৮। অবশ্যই এই সময়ে বাচ্চার ডায়েটের ব্যাপারে খুব সচেতন থাকা উচিত। আয়রন, ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি এই সময়ে।
বাচ্চার পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে আপনার পজিটিভ অ্যাটিচুডের জন্য। তাই সেই বিষয়টা অভিভাবকদের মনে রাখা খুবই জরুরি। তাহলেই এই বিশেষ পরিবর্তনটাও ওরা